বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল সরকার, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করা হয়েছে, তখনই চার পাঁচ বছর পুরোনো নারদকাণ্ডে অতিসক্রিয় সিবিআই। সোমবার সাতসকালেই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিজাম প্যালেসে থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকেও। গ্রেফতার করা হয় ‘দলবদলু’ শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। আর তারপর থেকেই বিজেপির এ হেন প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব শাসক দল। বাংলার মানুষ তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়েছে, তাই দিল্লীর অঙ্গুলিহেলনেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, এমনই অভিযোগ করছে তৃণমূল।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে সদস্যরা। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন হিমসিম খাচ্ছে কেন্দ্র, তখন সিবিআইয়ের এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে যাদবপুরের তারকা সাংসদ মিমির কটাক্ষ, ‘এখন সিবিআই, তারা কি ভ্যাকসিন নিয়ে এল?’ আবার, কর্মী-সমর্থকদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুরবাসীকে বিধায়কের বার্তা, ‘এটা বিজেপির একটা চক্রান্ত , আপনারা সেই চক্রান্তে পা দেবেন না’। অন্যদিকে, তৃণমূলের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘বাংলা দখল করতে না পেরে বিজেপির দুই কাণ্ডারী একেবারে মত্ত হয়ে উঠেছেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শাসন চালানোর চেষ্টা করেছিল, সেই জন্য ওভারটাইম কাজও করেছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ ভোটবাক্সে সেই ইচ্ছে জুতোর তলায় ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন। এখন আবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা দেখে নেব!’