রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্যই এই লকডাউন। এই কড়াকড়ি। নবান্ন থেকে গতকাল লকডাউন ঘোষণার সময় এমনটাই বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার আশা করছে, মানুষ এই নির্দেশ মানবেন। আর আজ, রবিবার লকডাউনের প্রথম সকালেই কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী হাওড়া-হুগলিতেও সেই ছবিটাই ধরা পড়ল। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার, দোকান খোলা থাকলেও রাস্তায় লোক নেই বললেই চলে। বাজার এলাকায় দু’এক জায়গায় অল্প কয়েক জনের জমায়েত ছাড়া মোটের উপর ফাঁকা রাস্তা। গাড়ি চলাচলও খুব কম। রাস্তায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাকা চেকিং চলছে। রাজ্যের জারি করা বিধিনিষেধ বজায় রাখতে সক্রিয় পুলিশ।
বালি খালের গুরুত্বপূর্ণ মোড় হোক বা বেলুড়ের রঙ্গোলি শপিং মলের সামনে – সর্বত্রই একই ছবি। ভিড় নেই। রাস্তার ধারে বিক্রেতারা ফল, সবজি নিয়ে বসেছেন ঠিকই। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানগুলো বেশির ভাগ বন্ধ থাকায় সেখানেও ভিড় নেই। কয়েকটি সবজি ও মুদিখানার দোকানের সামনে মেরেকেটে ১০-১৫ জনের ভিড়। কয়েকটি রিকশাওয়ালাও দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীর আশায়। সবমিলিয়ে রাস্তা প্রায় ফাঁকাই বলা চলে।
রবিবারের সকালে শুনশান কলকাতার বড়বাজার এলাকাও। রাস্তার উপরেই কিছু ঠেলাগাড়িতে সবজি, ফল বিক্রি হচ্ছে। তবে সেখানেও ক্রেতার সংখ্যা বেশ কম। দোকান প্রায় সবই বন্ধ। রাস্তার ধারে সার দিয়ে দাঁড়ানো ট্যাক্সি, ওলা, উবর। এই সুযোগে কেউ কেউ আবার নিজেদের গাড়ি ধুয়ে নিচ্ছেন। চারদিকে যেন একটা ছুটির আমেজ চোখে পড়ছে। বড়বাজার পেরিয়ে মহাকরণ, লালবাজার চত্বরেও রাস্তাঘাট ফাঁকা। অফিসপাড়ায় আজ উধাও কলকাতার সেই চেনা ভিড়ের ছবিটা। সব মিলিয়ে লকডাউনের প্রথম দিনের ছবিটা বেশ স্বস্তিকর।