অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। তবে নতুন কোনও ঘোষণা অথবা আশ্বাসবার্তা নয়। অক্সিজেনের অভাব কিংবা ওষুধের আকাল, যাবতীয় সমস্যা সমাধানের দায় প্রধানমন্ত্রী চাপালেন রাজ্য সরকারের উপর। দায় এড়িয়ে বললেন, কলোবাজারি রুখতে হবে রাজ্যকেই। রাজ্যগুলি অভিযান করুক। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া হাহাকার নিয়ে বলেছেন, আপনাদের প্রধান সেবক হিসেবে প্রতিটি কষ্ট ও অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারছি। এই সংক্রমণের জন্য আমরা আমাদের কাছের মানুষকে হারিয়েছি। আপনাদের কষ্টে আমি বেদনাহত ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, এরকম সঙ্কট ১০০ বছরে একবার এসেছে। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকালে যখন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তখন মোদী বলেছেন, আমরা গর্বিত যে ১৮ কোটির বেশি ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। মোদীর বার্তা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরও সতর্কতা বজায় রেখেই চলতে হবে। অর্থাৎ মাস্ক পরে যেতে হবে। প্রসঙ্গত আমেরিকার বিশেষজ্ঞ মহল বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছে, যে সমস্ত নাগরিকদের ভ্যাকসিন ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে, তাদের মাস্ক পরার দরকার নেই। গত মাসে একই ঘোষণা করেছে ইজরায়েলও।
অক্সিজেন আর ওষুধের আকাল নিয়ে দেশবাসী যখন চরম দুর্ভোগে, তখন মোদী বলেছেন, রাজ্য সরকারগুলিকে কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে। কঠোরভাবে রাজ্য সরকারকে কালোবাজারির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ যখন প্রবল আকার নিতে শুরু করে তখন পাঁচ রাজ্যের ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। সেই যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোদী ও অমিত শাহ। বাংলায় পরাজয়ের পর তাঁদের আর দেখা যায়নি। এখনও অমিত শাহ একপ্রকার অন্তরালেই। মোদী অনেকদিন পর এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্স করলেন। অক্সিজেনের অভাব নিয়ে অবশ্য কোনও আশ্বাস বা নতুন দিশা দিতে পারেননি। শুধুই গতানুগতিক সতর্কতা রক্ষার কথা বলেই দায় সেরেছেন। বরং আশঙ্কার কথা শুনিয়ে বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে এবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগজনক।