কোভিডের দাপটে বিপর্যস্ত পুরো দেশ। সব খেলাধুলো বন্ধ। কবে আবার মাঠ-ময়দান খুলবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে এর মধ্যেও এ বারের আইএসএল আয়োজন করতে মরিয়া আইএফএ। সেই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে রেখেছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জৈব বলয় তৈরি করে কলকাতার বুকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আইএসেএল আয়োজন করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গোয়াতে আইএসএল আয়োজন করা হয়েছিল। আইপিএল শুরু হওয়ার সময় এফএসডিএল ধরে নিয়েছিল তারাও একাধিক রাজ্যে আইএসএল আয়োজন করবে। কিন্তু ভাইরাস হানায় আইপিএল মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে এফএসডিএল। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফলে এ বারও এক রাজ্যে আই লিগ ও আইএসএল আয়োজন করা হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। গত বছর কোভিডের মধ্যেও কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন ও আই লিগের মূল পর্ব আয়োজন করেছিল আইএফএ। তাই এ বার আইএসএল-এর মহা ডার্বি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজন করতে মরিয়া আইএফএ।
এবিষয়ে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “পরিকাঠামো ও লোকবলের দিক দিয়ে আইএফএ অন্য রাজ্যের ফুটবল সংস্থার থেকে অনেক এগিয়ে। তাছাড়া আমাদের রাজ্য সরকার সব সময় সাহায্য করে। রাজ্য সরকারও এখানে আইএসএল আয়োজন করতে ইচ্ছুক। তাই এআইএফএফ ও এফএসডিএল যদি কলকাতায় আইএসএল আয়োজন করতে চায়, আমরা সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু বছরের শেষ দিকে কোভিডের অবস্থা কেমন থাকে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”
এবছর আইএসএল শুরু করার ভাবনা সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথমে। অন্য দিকে, আই লিগ হবে নভেম্বরে। তবে আইএসএল ও আই লিগে এ বারও দর্শকহীন স্টেডিয়ামে হওয়ার সম্ভাবনা। জৈব সুরক্ষা বলয় আরও সুরক্ষিত করার জন্য আই লিগের বিভিন্ন ক্লাব ও আইএসএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগামী অগস্টের মধ্যে সব ফুটবলার ও দলের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জোড়া ভ্যাকসিন নেওয়ার কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে এআইএফএফ ও এফএসডিএল।
গোয়ার মতো কলকাতাতেও কাছাকাছি জায়গায় মাঠ রয়েছে। রয়েছে তিনটি স্টেডিয়াম ও একাধিক অনুশীলন মাঠ। এমনকী দলগুলোকে রাখার জন্য রয়েছে একাধিক হোটেল। যুবভারতী, কিশোর ভারতীর পর রাজ্য সরকার তৃতীয় মেয়াদের শুরুতেই রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামকে ফের গড়ে তোলার দিকে এগোচ্ছে। এছাড়া দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ের ব্যাপারটাও মাথায় রাখছে এফএসডিএল।
পাশাপাশি জয়দীপ জানিয়েছেন, “গত বছর থেকেই ফুটবল হাউসের কর্তাদের আইএসএল আয়োজন করার ব্যাপারে আবেদন করে রেখেছি। তাছাড়া দুই প্রধান এখানে আইএসএল খেলতে পারলে সেটা দুটো দলের সমর্থকদের কাছেও বাড়তি পাওনা হবে। গত বছর এফএসডিএল আস্থা দেখানোর পর আমরা কল্যাণীতে মহিলাদের ফুটবল লিগ আয়োজন করেছিলাম। তাই এ বারও এআইএফএফ ও এফএসডিএল আমাদের ওপর আস্থা রাখলে আমরা আইএসএল আয়োজন করতেই পারি।”