তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে করোনা প্রতিরোধ করা। তার জন্য যা যা করা দরকার তিনি করবেন। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠতে শুরু করে অক্সিজেন, ভ্যাকসিনের কালোবাজারি করছে কিছু মানুষ। এদিকে অক্সিজেনের আকাল পড়েছে। তাই এই মহামারীতে জালিয়াতি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশও। কোভিড–১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারি রুখতে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর।
লালবাজার সূত্র অনুযায়ী, হেল্পলাইন নম্বরটি হল : ৯৮৭৪৯০৯৬৪০। তার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটি মেইল আইডিও। যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের (অপরাধ) মেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। যাতে নাগরিকরা এই জিনিস দেখতে পেলে নিজেরাই অভিযোগ জানাতে পারেন। কালোবাজারি ঠেকাতে এই নম্বরে ফোন করে বা মেইল করার পরামর্শ দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
কোভিডের দাপটে যখন রাজ্যের মানুষ দিশেহারা হচ্ছেন তখন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাহায্যের নাম করে প্রচুর প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। ফোন করলে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই নম্বরগুলিতে ফোন করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবার টাকা দিয়েও পাননি অক্সিজেন। এমন অভিযোগও উঠছে। গত সপ্তাহেই বনগাঁ থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ। ওই দুই প্রতারক পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী।
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কাছেও এমন একাধিক অভিযোগ আসছিল। কালোবাজারি এবং প্রতারণা রুখতে সাধারণ মানুষ সরাসরি যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। রেমডিসিভির নিয়ে কালোবাজারি করায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য রেমডিসিভির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।