শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তেই ফের অমিত মিত্রর ওপরেই ভরসা রেখেছেন তিনি। এবারও তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রক। আর দায়িত্ব পেয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। অমিতবাবুর অভিযোগ, করোনা কালে রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষতি বাড়লেও মোদী সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে বুধবার চিঠিও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কেন্দ্রের হিসেব মতোই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিএসটি আদায়ে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা কম পড়তে চলেছে। এরপর যুক্ত হবে করোনার কুপ্রভাব। ফলে রাজ্যের ক্ষতি আরও বাড়বে। তাই অবিলম্বে অনলাইন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকুন। সংবিধান মোতাবেক প্রতি চার মাস অন্তর যেখানে কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার কথা, সেখানে কেন তা লঙ্ঘন হচ্ছে? অক্টোবর মাসের পর কেন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে আর্থিক পরিস্থিতি আলোচনা হল না? নির্মলার কাছে জবাব চেয়েছেন অমিত মিত্র।
এদিকে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকা কর্মসূচীর নামে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি জিএসটির লাভ ঘরে তুলছে কেন্দ্র। বুধবার এই মর্মে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে রাজ্য সরকার এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলি যে সরাসরি ডোজ কিনছে, সেখান থেকেই কেন্দ্র এই লাভের গুড় খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। স্রেফ ভ্যাকসিনের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি চাপিয়ে ৩ হাজার ১৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকাই নয়, ওষুধ, অক্সিজেন, স্যানিটাইজারের মতো সামগ্রীতেও ১২ থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপিয়েও মোদী সরকার বিপুল আয় করেছে। সব মিলিয়ে মোট ৬ হাজার কোটি টাকা জিএসটি আদায় হয়েছে বলেই জানিয়েছেন এআইসিসি মুখপাত্র অর্থনীতিবিদ গৌরব বল্লভ। বলেছেন, বিপর্যয়েও লাভের সুযোগ খুঁজছেন মোদী। বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেও ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলেছে কেন্দ্র। এখন রাজ্য সরকার নিজের পয়সায় যে ভ্যাকসিন কিনছে সেখান থেকেও জিএসটি আদায় করছে। দেশে যখন ভ্যাকসিনের টানাটানি, কেন বিদেশে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ পাঠানো হল? সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।