কুম্ভমেলা ফেরত ৬৭ বছরের বৃদ্ধা এখন ‘সুপার স্প্রেডার’। কারণ তাঁর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনুমান ৩৩-র বেশি! ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। জানা গিয়েছে যাঁরা ওই বৃদ্ধার থেকে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৩ জন পশ্চিম বেঙ্গালুরুর স্পন্দনা স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মানসিক রোগী।
জাতীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃদ্ধার পুত্রবধূ যিনি স্পন্দনা হেলথ কেয়ারের একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৩ জন রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন, এরপরই যখন তিনি জানতে পারলেন যে তাঁর শাশুড়ি কোভিড -১৯ আক্রান্ত, তখন তিনি নিজেও কোভিড টেস্ট করান এবং জানতে পারেন তিনিও করোনা আক্রান্ত। তবে কোনও উপসর্গ ছিল না।
মেডিকেল অফিসার মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে কুম্ভ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন, যাকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন। স্পন্দনা স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রায় ১৬ জন করোনা আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে কিছুজনের উপসর্গ খুবই মৃদু।
প্রসঙ্গত, কুম্ভমেলা নিয়ে বিতর্ক চললেও, মেলায় ব্যাঘাত ঘটেনি। স্বাস্থ্যবিধি ও করোনাকে তোয়াক্কা না করেই চলেছে কুম্ভমেলা। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে হঠাৎ করে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত এবং তা যেভাবে মারাত্মক আকার নিয়েছে তার জন্য বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছে। যার মধ্যে কুম্ভমেলা অন্যতম, সঙ্গে রাজনৈতিক জমায়েত তো রয়েছেই।