কোভিড টিকা নিয়ে দেশজুড়ে সমস্যা চলছে। কোনও কোনও রাজ্যে টিকার আকালের কারণে ১৮-৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণ স্থগিত রাখতে হয়েছে। টিকা উৎপাদনে এত পরিকাঠামো থাকার পরও কেন ভারতে এই অবস্থা? এই প্রশ্নই তুলছে বিরোধীরা।
কোভিডের টিকা ও ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পেতে ও বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে ছাড়ের জন্য গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল ভারত। আবেদনে ভারত সরকার যুক্তি দিয়েছিল, উন্নয়নশীল দেশে কম দামে টিকা এবং ওষুধ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ‘মেধা স্বত্ব’ সংক্রান্ত চুক্তি। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে টিকা পাওয়ার জন্য তদ্বিরও করেছিল। অথচ বিরোধীদের অভিযোগ, দেশে টিকার উৎপাদন বাড়ানোর পক্ষে তেমন কিছুই করেনি।
যেহেতু সেরামের ‘কোভিশিল্ড’ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি, তাই সেখানে বাধ্যতামূলক ভাবে লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি জড়িত। যদিও ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি জড়িত নয়। প্রতি মাসে ৫ কোটি টিকা উৎপাদনের পরিকাঠামো আছে সেরাম ইনস্টিটিউটের। অন্য দিকে, ভারত বায়োটেকের রয়েছে মাত্র ৯০ লাখ টিকা উৎপাদনের পরিকাঠামো। যা দেশের চাহিদার সঙ্গে কোনও ভাবেই যায় না। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অন্য উপযুক্ত সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দিয়ে ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ৬ মাসেরও বেশি সময় নিয়েছে। এপ্রিলের গোড়াতে দেশে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়ে। তারপরই তারা প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য ৩টি সংস্থাকে বেছে নেয়।