গতকাল কালবৈশাখীর জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। শুধু গতকাল না, প্রায় তিন-চারদিন ধরেক এই দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। আর এর জেরেই বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরো ধান, পাট এবং আম চাষ। যার ফলে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গেই কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একদিকে করোনার থাবা, আর অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়াতে মাথায় হাত চাষিদের। এর দোসর হয়েছে শিলাবৃষ্টি। ফলে একদিকে যমন আমের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তেমনই প্রবল বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে ধান। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে ক্ষতি হয়েছে পাট গাছেরও। কোন জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, জানতে হিসেব কষতে বসেছেন ব্লক কৃষি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবার অন্তত ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এই মূহূর্তে সোনালি রঙ নিয়েছে জমির ধান। লকডাউনের কারণে এবার খুব কম সংখ্যক শ্রমিক এসেছে বাইরে থেকে। ফলে সময়মত শ্রমিক না পাওয়ায় ৪০ শতাংশ ধান জমিতেই রয়ে গিয়েছে বলে জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে এই ধান কাটার আগেই জেলায় শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে জমিতে জল জমার পাশাপাশি ধান গাছ নুইয়ে পরেছে।
জেলা কৃষি আধিকারিক অনির্বাণ লাহিড়ী এই বিষয়ে বলেন, “এই মরশুমে বোরো চাষিদের সংযত ও সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়া একটু ভাল হলেই দ্রুততার সঙ্গে ধান কেটে তুলে নিতে হবে।” তবে শুধুই দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, একই অবস্থা মালদহ জেলাতেও। পাকা ধান, পাট, সবজি নষ্টের পরিমাণ মিলিয়ে সেখানে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঝড়ে পড়েছে আমও। শিলাবৃষ্টির জেরে আমের ফলন ধাক্কা খেতে পারে। যে ক্ষতির পরিমাণ নেহাত কম নয়। বুধবার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে যাবেন স্থানীয় বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট সংগ্রহ করতে মাঠে নেমেছে ব্লক আধিকারিকরা।