দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে টিকাকরণের দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। যত বেশি টিকা, তত বেশি করোনার বিরুদ্ধে বর্ম। আর এভাবেই তৈরি হবে হার্ড ইমিউনিটি। করোনা মোকাবিলায় এই হার্ড ইমিউনিটির গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ ভারতের টিকাকরণ যে গতিতে এগচ্ছে, তাতে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠতে সাড়ে তিন বছর লেগে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে। দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি ধরা হলে, অন্তত ৯৪ কোটি ৫০ লক্ষ নাগরিককে টিকাকরণের আওতায় আনা প্রয়োজন। এঁদের সকলকে দু’টি ডোজ দিতে গেলে ১৮৯ কোটি ডোজের প্রয়োজন হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকাকরণ শুরু হওয়ার ১১৫ দিনের মধ্যে ১৯ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন ১৫ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মাসে দেওয়া হয়েছে সাড়ে চার কোটি ডোজ। এই হার বজায় থাকলে বছরে ৫৪ কোটি ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে। ১৮৯ কোটি ডোজ তৈরি করতে তিন বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।