ভয়ঙ্কর করোনা আবহের মধ্যে যখন মাধ্যমিক নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা, তখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও আগাম পিছিয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আজ, বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছোলে উচ্চ মাধ্যমিকও পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। আপাতত সংসদ অপেক্ষা করছে সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য।
এদিন তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের জীবনের থেকে মূল্যবান আর কিছু হতে পারে না। এই পরীক্ষা পরেও হতে পারে। তবে যখনই পরীক্ষা হোক, তা হবে নিজের স্কুলেই।” দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর করোনার যা বাড়বাড়ন্ত তৈরি হয়েছে গোটা দেশে, বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। আর তাতে এটুকু স্পষ্ট যে, এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এ রাজ্যে। তবে পরীক্ষা বাতিল না পরে হবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিবের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বৈঠকের পর মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে৷
আগামী ১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়৷ কিন্তু পরীক্ষা না হলে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হবে, পর্ষদের কাছে তা জানতেও চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আপাতত ওই নির্ধারিত সূচি অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষা ১ জুন শুরু হয়ে ১০ জুন ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। পিছিয়ে যাবে না বাতিল হবে তা সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” আর মাধ্যমিক পরীক্ষা যখন নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, তখন মনে করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকও পিছিয়েই যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।