গত সোমবার রাজভবনে শপথ নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভা। আর তারপরে সেইদিনই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর ক্যাবিনেটে ঠাঁই হয়েছে একঝাঁক নতুন মুখের। আর তার মধ্যে অন্যতম মালবাজারের বুলুচিক বরাইক।
প্রসঙ্গত, বুলুচিকের মা, বাবা দুজনেই ছিলেন চা শ্রমিক। তিনি নিজেও কখনও চা শ্রমিক, কখনও চা বাগানের পাহারাদার হিসাবে কাজ করেছিলেন। বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর হাত ধরে তাঁর রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হলেও পরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাম জমানায় ১৯৯৮, ২০০৩, ২০০৮ সালে মাল পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে সিপিএমের টিকিটেই বিধায়ক হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধানসভায় যান তিনি।
এবারও তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন বুলুচিক। শুধু জেতা নয়, মন্ত্রীও হয়েছেন তিনি। বাসিন্দাদের মতে, বাম জমানায় পরিমল মিত্র বন ও পর্যটন বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন এই মালবাজার থেকেই। এবার সেই মালবাজার থেকে প্রায় সাড়ে তিন দশক পর মন্ত্রী হলেন বুলুচিক বরাইক। অভাবের তারনায় অন্যান্য চা শ্রমিক পরিবারের মতোই স্কুলের পড়াশোনাও বেশি দূর হয়নি। দিন কয়েক আগেও সাদামাটা জীবন যাপন করতেন তিনি। মন্ত্রী হয়েও তেমনি মানুষের পাশে থাকুন বুলুচিক বরাইক, এমনটাই চাইছেন ডুয়ার্সের মানুষ। ভূমিপুত্রের এই সাফল্যকে ঘিরে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন বাসিন্দারা।