গতকালই জানা গিয়েছে যে, বাংলায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে এবার ৭৫ হতে চলেছে। আর এবার সেই ৭৫জন নব নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার ফলে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে। ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্ত আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রাজনৈতিক অশান্তিতে ক্ষতিগ্ৰস্ত তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবিরেরই বহু কর্মী। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ কর্মীদের দিকে না তাকিয়ে নেতাদের সুরক্ষায় ব্যস্ত বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আরামবাগ মহকুমার সাধারণ বিজেপি কর্মীরা। তবে তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগ পুরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে সংঘর্ষ নিয়ে হাইলাইট করছে। আমাদেরও বহু কর্মী আক্রান্ত। আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলের পাশে থাকছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরামবাগের সাধারণ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, সামনে থেকে লড়াই আমরা করি। সাফল্য পেলে ক্ষীর-মালাই খায় ওপর মহল। আর হেরে গেলে মার খায়, সর্বস্বান্ত হয় আমাদের মতো নিচুতলার কর্মীরা। গোঘাটের বিজেপি কর্মী সুশান্ত মণ্ডল বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের অবজার্ভারদের বারবার বলেছি, আপনারা ব্যবস্থা নিন। ফল খারাপ হলে সামনের সারিতে থাকা বিজেপি কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্ৰস্ত হবেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল দেওধরদের যখনই বলতে গেছি তখনই এটা ওটা বুঝিয়ে ওঁরা এড়িয়ে গিয়েছেন। কোনও সুফল হয়নি। এখনও কর্মীদের বাঁচানো নিয়ে উদাসীন ওঁরা।
অন্যদিকে, খানাকুলের বিজেপি কর্মী শম্ভুনাথ মালিক বলেন, এই মুহূর্তে কর্মীদের নিরাপত্তা অবশ্যই দরকার। তবে এখানকার বিধায়করাই ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। নেতারা এলে, নিরাপত্তা পেলে আমাদের সাহস বাড়বে। পুরশুড়ার বিজেপি কর্মী জয়ন্ত ঢোল বলেন, বিধায়কদের নিরাপত্তা অবশ্যই দরকার। সেই সঙ্গে সাধারণ কর্মীদের দিকেও নজর দিন নেতারা। পুরশুড়ার বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী বিমান ঘোষ বলেন, গত সোমবার বিজেপির বিজয়ী বিধায়কদের মিটিং ছিল। সেখানেও উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের আমরা পরিষ্কার বলেছি, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা করতে হবে। এটা আপনারা দেখুন।