করোনার সেকেন্ড ওয়েভে শিশুদের ওপর সংক্রমণের ঘটনা বেশিই দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, থার্ড ওয়েভে সেই সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তাই শুরুতে নাকচ করে দিলেও এবার শিশুদের শরীরে কোভ্যাক্সিন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ভারত বায়োটেক-কে অনুমতি দিলো কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, ২ বছরের শিশু থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি স্বেচ্ছাসেবক বেছে নেবে তারা।
কমবয়সীদের শরীরে কোভ্যাক্সিন টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল করা হবে। এই ট্রায়ালের ফল সন্তোষজনক হলে কমবয়সীদেরও কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, দিল্লীর এইমস, পাটনা এইমস, নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে শিশু ও কমবয়সী মিলিয়ে ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের শেষে সেই ভ্যাকসিনের সেফটি ডেটা জমা করা হবে ড্রাগ কন্ট্রোলের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটিকে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রের কাছে আবেদন পেশ করে ভারত বায়োটেক বলেছিল, ৫ থেকে ১২ বছরের শিশু এবং ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শরীরে কোভ্যাক্সিন টিকার ট্রায়াল করতে তারা ইচ্ছুক। কিন্তু সেইসময় তৃতীয় দফায় শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে টিকার ট্রায়ালের অনুমতি না দিলেও প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। তবে বাচ্চাদের শরীরে টিকার ডোজ কতটা সুরক্ষিত হবে সে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা করতে বলা হয়েছিল কৃষ্ণা এল্লার সংস্থাকে। কিন্তু বর্তমানে শিশুদের শরীরেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই শিশুদের শরীরেও টিকার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার প্রস্তাব দিলো ভারত বায়োটেক।