বৈচিত্র্যপূর্ণ তাঁর রাজনৈতিক জীবন। এক সময় ছিলেন চা বাগানের শ্রমিক। যুক্ত হন চা শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে। হতে তুলে নিয়েছিলেন লাল ঝান্ডা। বিধায়কও হন। তার পরে শিবির বদল করে তৃণমূলে। জোড়া ফুল প্রার্থী হিসেবেও পর পর দু’বার জিতে বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু এই প্রথম বার মালবাজারের বিধায়ক বুলু চিক বরাইককে মন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা শ্রমিক থেকে মন্ত্রী বুলুর লক্ষ্য আদিবাসী ও চা শ্রমিকদের উন্নয়ন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম মালবাজারের কোনও বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। মন্ত্রীত্ব পেয়েই মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে রোহিত, রাঙামাটি অঞ্চল সভাপতি কানছা রানা ও মালবাজারের তৃণমূল নেতা রাসেল সরকার।
সংবাদমাধ্যমকে বুলু জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। একজন আদিবাসীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন তিনি। এখন প্রথম কাজ মানুষকে এই করোনা অতিমারি থেকে বাঁচানো। যাঁদের আমি প্রতিনিধি, তাঁদের বাঁচাতে না পারলে আমি কিসের প্রতিনিধি। আমি নিজে একজন আদিবাসী। মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী করেছেন আমাকে। তাই আদিবাসীদের উন্নয়নের আপ্রাণ চেষ্টা করব আমি।”