বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না যোগী রাজ্যের। এবার ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। পর্যটক ভিসায় ভারতে এসে লখনউতে মৃত্যু হল এক থাইল্যান্ডের নাগরিকের। আর তা নিয়েই তোলপাড় গোটা রাজ্য। একদিকে যেমন, ওই মহিলার ভারতে আসার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে ওই মহিলার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এক বিজেপি নেতার ছেলের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ২৮ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশে আসেন ওই থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সেখান থেকে তিনি বিশেষ কোনও কারণে লখনউ যান। সেখানেই করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই তাঁকে রাম মোহন লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩ মে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই নয়া দিল্লীর দূতাবাসের মাধ্যমে ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
লখনউ জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠির মাধ্যমে দূতাবাসের তরফে দেহ সৎকার করে অস্থি থাইল্যান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুর সার্টিফিকেটও যেন সঠিকভাবে তৈরি করে হাসপাতালের তরফে পাঠানো হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই মহিলার ট্যুর গাইড ও লখনউ পুলিশের উপস্থিতিতে মহিলার দেহ সৎকার করা হয় ও তার পরিবারকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে গোটা কর্মকাণ্ড দেখানো হয়।
এদিকে, ওই মহিলার ফোন থেকে সালমান খান নামক যে ট্যুর গাইডের নম্বর পাওয়া যায়, তা ডে কেয়ার স্পা নামে রেজিষ্টার করা। তবে ওই গাইড কোনও স্পায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। তিনি জানান, রাকেশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি, যিনি দূতাবাসের সঙ্গে জড়িত, তাঁকে তাইল্যান্ড দূতাবাসের তরফে ফোন করা হয়। এরপরই তাঁর কথায় সালমান ওই মহিলার দেখভাল করছিলেন।
অন্যদিকে, স্পা সেন্টারের নাম উঠতেই সমাজবাদী পার্টির নেতা আইপি সিং সহ একাধিক নেতা ওই মহিলার সঙ্গে বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় শেঠের নাম জড়িয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ ওই মহিলাকে দেহ ব্যবসা করাতেই ভারতে এনেছিলেন সাংসদ-পুত্র। গোটা ঘটনার তারা সিবিআই তদন্তও চান।