রাজনীতিতে নতুন পালক পেল দক্ষিণ ২৪ জেলার সাগর। স্বাধীনতার পর রাজ্যের প্রথম মন্ত্রী নিযুক্ত হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর থেকে। সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় বারের মন্ত্রীসভায় নতুন পালক জুড়ল সাগরের মুকুটে। এর পাশাপাশি পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলকে। তৃণমূলের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরের বঙ্কিম এবং বিষ্ণুপুরের দিলীপ মমতার মন্ত্রীসভায় তুরুপের তাস।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীসভায় একেবারেই নতুন হলেও বঙ্কিম এবং দিলীপ দু’জনেই কিন্তু দুঁদে রাজনীতিক। তৃণমূল সরকারের আমলে বঙ্কিমের হাত ধরেই গঙ্গাসাগরের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। ৪ বারের ওই বিধায়কের কাঁধে এ বার তুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। বঙ্কিম বলেন, “প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই দলের হয়ে লড়াই করছি। বিধায়ক হয়ে এলাকার উন্নয়নে কোনও খামতি রাখিনি। এ বার দলনেত্রী আমার উপর বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করি তা সফল ভাবে পালন করতে পারব।”
উল্লেখ্য, প্রথমবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আর এক মন্ত্রী দিলীপ বলছেন, “আমি অভিভূত। দলনেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।” গত ১০ বছর সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন মন্টুরাম পাখিরা। এ বার মন্ত্রীসভায় তাঁর ঠাঁই হয়নি। মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েছেন ওই জেলারই আর এক বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। গত দু’বার রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বার তাঁর জায়গায় এসেছেন গোলাম রব্বানি। গিয়াসউদ্দিনের অবশ্য বক্তব্য, “রাজ্য জুড়ে এত বড় সংসার আমাদের। সবাই যে মন্ত্রী হবেন এমনটা নয়। আমি আগে মন্ত্রী ছিলাম। এ বার নতুন কেউ হলেন। এটাই তো নিয়ম।”