করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ে গোটা বিশ্বে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতই। এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সেকেন্ড ওয়েভে আর অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে হয়নি। আর এর মূলে রয়েছে কেন্দ্রের উদাসীনতা এবং আলস্যই। এদিন এভাবেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে দায়ী করল চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, কেন্দ্র তাদের কোনও পরামর্শই মানছে না। বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং গবেষকদের পরামর্শ স্রেফ ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাফ কথা, এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একমাত্র সুপরিকল্পিত সার্বিক লকডাউন। নাইট কার্ফু বা বিক্ষিপ্ত লকডাউন কোনোমতেই উপযোগী নয়।
রবিবার আইএমএ’র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আমাদের তরফে অনেক আগেই দেশজুড়ে লকডাউন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রগুলো যাতে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে তার জন্য পূর্ব-ঘোষিত লকডাউন জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে যে সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উদাসীন মনোভাব এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আলস্য দেখে দেখে আমরা স্তম্ভিত।’ আইএমএ’র দাবি, তাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লকডাউন করেনি কেন্দ্র, আর আজ প্রতিদিন নতুন করে ৪ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এর মধ্যে মাঝারি থেকে খারাপ অবস্থার রোগীর হার অন্তত ৪০ শতাংশ। আলাদা আলাদা করে বিক্ষিপ্ত লকডাউন বা নাইট কার্ফু কোনও কাজে লাগেনি।
তাদের সাফ বক্তব্য, দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখার আগে মানুষের প্রাণ বাঁচানো বেশি জরুরি। তাই কেন্দ্রের উচিত এখনই নিজেদের হাতে সময় নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করা। পাশাপাশি, দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কটের পিছনেও কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে চিকিৎসকদের এই সংগঠনটি। তাদের দাবি, দেশে অক্সিজেনের কোনও সঙ্কট নেই। শুধু সঠিকভাবে তা বিতরণ করতে পারছে না কেন্দ্র। যে কারণে সাধারণ চোখে এটিকে সঙ্কট বলে মনে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের অন্যতম বৃহৎ এই সংগঠনটি এর আগেও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে। আর এই সংগঠনের শীর্ষপদে আছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।