এবার কর্নাটকের পর ১৪ দিনের পূর্ণ লকডাউনের জারি হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। আগামী সোমবার ১০ই মে থেকে লকডাউন শুরু হবে রাজ্যে। চলবে ২৪শে মে পর্যন্ত। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটকের মতোই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তামিলনাড়ুতে করোনা সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে বেড়ে চলেছিল। সংক্রমণের হার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণের এই রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ২৬ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই তড়িঘড়ি পূর্ণ লকডাউনের পথে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল সরকার। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। দায়িত্বে আসার পরই করোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা কার্যকরী হতে শুরু করল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সকলের মত নিয়েই পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার ভোর ৪ টে থেকে ২৪ তারিখ ভোর ৪ টে অবধি লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মতো তামিনলাড়ুতে বিধানসভা ভোট চলেছে এতদিন। নির্বাচনী প্রচারে ভিড়-জমায়েতও দেখা গিয়েছে। ডিএমকে প্রধান বলেছেন, ভোট চলাকালীন কোভিড বিধি মানেননি জনগন। তাই সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে রাজ্যে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেও কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে এখন লকডাউন ছাড়া অন্য রাস্তা নেই। লকডাউন চলার সময় মুদিখানা ও জরুরি পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সবই বন্ধ থাকবে। মুদির দোকান, সব্জি বা মাছ-মাংসের দোকান, ওষুধপত্র, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি বেলা ১২ টা অবধি খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মল, থিয়েটার সবই বন্ধ থাকবে। মদের দোকান বন্ধ রাখা হবে। হোম ডেলিভারিতে খাবার আনানো যাবে। খুব জরুরি কারণ ছাড়া ক্যাব ভাড়া করা যাবে না। শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক ও জরুরি পণ্যের দোকানগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করাতে হবে। ওয়ার্ক ফর্ম হোম চালু করবে বাকি সমস্ত অফিস।