সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশের চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা সেই তালিকায় থাকলেও, নেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে ২টি চিঠি লিখলেও প্রধানমন্ত্রীর তরফে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়নি বলেই খবর। যথারীতি শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে টিকা ও অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। এই প্রসঙ্গে তিনি চিঠিও লিখেছেন মোদীকে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের তরফে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। মমতার চিঠির জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ফোন করেননি কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। যদিও এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
সূত্র অনুযায়ী, শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই কথোপকথনের বিষয় টুইট করে জানিয়েছেন শিবরাজ। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের হার যে ক্রমাগত কমছে সেই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া সংক্রমণ মোকাবিলায় তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। মোদীর তরফে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও টুইটে জানিয়েছেন শিবরাজ। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাঁকেও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও উদ্ধব বা স্ট্যালিনের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ২২, তামিলনাড়ুতে ২৬ হাজার ৪৬৫, মধ্যপ্রদেশে ১১ হাজার ৭০৮ ও হিমাচল প্রদেশে ৪ হাজার ১৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ২১৬ জন। অর্থাৎ হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু তার পরেও মোদীর ফোন পেলেন না মমতা। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।