বিশ্বজয় বর্ধমানের কন্যার। কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচার নতুন রাস্তা দেখাল মেমারির দিগন্তিকা বসু। যার স্বীকৃতি দিল গুগল। গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে জায়গা পেল তার তৈরি ভাইরাস প্রতিরোধকারী মাস্ক। ‘অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইন’ বিভাগের সেরা দশে স্থান করে নিল দিগন্তিকা। গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে সাধারণত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কাছ থেকে নানা বিষয়ে উৎসাহব্যঞ্জক ডিজাইন ছবি বা ভিডিও চাওয়া হয়। সেই ভাবনাগুলির সংগ্রহশালা হয়ে ওঠে এটি। এখন সেখানেই স্বমহিমায় উপস্থিত দিগন্তিকার নাম।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে মাস্কের ব্যবহার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। দিগন্তিকার তৈরি মাস্ক এরই মধ্যে অনন্য। এটি ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখবে, ভাইরাস প্রতিরোধ করবে, ইনহেলারের কাজ করবে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই অসাধ্য সাধন করেছে সে। সহজে, কম খরচে এই মাস্ক করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মুম্বইয়ের মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সলেন্সের সাহায্যে এই মাস্ক তৈরি করেছে দিগন্তিকা। গুগলে লেখা হয়েছে, ইতিমধ্যে এই মাস্কের বিষয়ে সাধুবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দ্রুত ভারতের বাজারে যাতে এ টিকে নিয়ে আসা যায়, চেষ্টা চলছে তারও।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিগন্তিকা। ইতিমধ্যে ১১টি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই পরিচিতি লাভ করেছে সে। দিগন্তিকা বলেছে, “আমার খুব ভাল লাগছে এটা জানতে পেরে যে আমার তৈরি ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ককে গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে স্থান দিয়েছে।”