ভোট প্রচারে রোদ-জল-কালবৈশাখী ঝড় কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যন্ত এলাকায় তাঁর জনসংযোগ ভঙ্গি মুগ্ধ করেছে সেখানকার বাসিন্দা তথা অনুরাগীদের। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সার্টিফিকেট দিয়ে ‘স্ট্রিট ফাইটার’ আখ্যা দিয়েছিলেন। আর তাই হেরে গিয়েও জিতে গিয়েছেন সায়নী ঘোষ! আসানসোলবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। আপাতত গোটা আসানসোলজুড়ে একটাই রব, ‘উই ওয়ান্ট সায়নী’।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বড় চমক দিয়েছিলেন সায়নী। টলিপাড়ার এই নায়িকা ময়দানে নেমে তৃণমূল স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে আদৌ কতটা কাজ করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু সমালোচনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে প্রচার ময়দান দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন তিনি। প্রচারে শহরবাসীর মন কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর নায়িকা থেকে নেত্রী হয়ে ওঠার পথ ছিল সাবলীল। কিন্তু আসানসোল দক্ষিণে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে এখন দলীয় কর্মীদের দাবি, সায়নী ঘোষকে আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। বুধবার রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এই দাবিতে রাস্তায় নামেন। আওয়াজ তোলেন, ‘উই ওয়ান্ট সায়নী’।
বার্নপুরের বারি ময়দান এলাকায় সায়নীর ছবি ও পোস্টার নিয়ে নেত্রীকে আসানসোলের প্রশাসনিক পদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তাঁরা। ছাত্রনেতা পাপাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সায়নীর প্রচার ও ব্যবহার আমাদের মন কেড়েছে। আমরা মনে করছি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে পারেন। উনি নিজেও আসানসোলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাই আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। এটাই আমরা চাইছি। উচ্চনেতৃত্বের কাছে বার্তা দেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছি।’