বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথগ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদম ছোট পরিসরে শপথ গ্রহণের পরই এরপরেই তিনি চলে যান নবান্নে। আর তৃতীয় ইনিংস শুরুর দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন তিনি। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েও প্রথমেই করোনা মোকাবিলার পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর তার পরেই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দাবি, সবাইকে বিনামূল্যে টিকাকরণ করাতে হবে। এরপর গতকাল, কৃষকদের অ্যাকাউন্টে মোদীর প্রতিশ্রুতি মতো ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানিয়ে চিঠি লেখেন মমতা। আর তার ২৪ ঘণ্টা পরই মমতার ফের চিঠি মোদিকে। এবার বিষয় করোনা-কালে অক্সিজেনের ‘ঘাটতি’।
এদিন চিঠিতে মমতা প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিচ্ছে। প্রতিদিন অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ৪৭০ মেট্রিক টন। অথচ রাজ্য এখন গড়ে দিনে অক্সিজেন পাচ্ছে ৩০৮ মেট্রিক টন।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘আগামী ৭-৮ দিনে ৫৫০ মেট্রিন টন অক্সিজেন দরকার পড়বে।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, কেন্দ্র যাতে রাজ্যের জন্য আর অক্সিজেন না নেয়, এবং প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগও করেছেন। লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে অক্সিজেনের দৈনিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৫৫০ মেট্রিক টন করার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার জন্য বরাদ্দ না বাড়িয়ে অন্য রাজ্যকে বেশি করে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। আর তা দেওয়া হচ্ছে বাংলায় উৎপাদিত অক্সিজেন থেকেই।
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে লিখেছেন, শুধুমাত্র গত ১০ দিনে বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া অক্সিজেনের পরিমান ২৩০ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬০ মেট্রিক টন। কিন্তু বাংলার জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০৮ মেট্রিক টন। অথচ বাংলার প্রতিদিন অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে ৫৫০ মেট্রিক টন।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, অবিলম্বে কেন্দ্র অক্সিজেনের ঘাটতি না মেটালে এ রাজ্যে বহু রোগী মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।