মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পোস্ট করার অভিযোগে ফের বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল উল্টোডাঙা থানায়। তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত নামে এক ব্যক্তি এই এফআইআরটি দায়ের করেছেন। সূত্রের খবর, তা গ্রহণও করেছেন উল্টোডাঙা থানার ওসি কান্তিময় বিশ্বাস। ঋজুবাবুর বক্তব্য, কঙ্গনার মতো একজন জনপ্রিয় তারকা যদি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ান, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন, তাহলে তার প্রভাব পড়বে জনমানসে। আর তা মোটেই কাম্য নয়। এর সুবিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঋজুবাবু। তাঁর অভিযোগ গৃহীত হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
ভোটের ফলপ্রকাশের পরদিন, ৩ তারিখ কঙ্গনার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে কলকাতা পুলিশে ইমেল মারফত এফআইআর দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। এবার উল্টোডাঙা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন শাসকদলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত। উল্লেখ্য, বরাবরই লাগামছাড়া মন্তব্য করে বিতর্কের শীর্ষে থাকেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। রাজনৈতিক হোক কিংবা বলিপাড়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যা- সবেতেই নিজের মতামত ব্যক্ত করেন কঙ্গনা। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায়, আবার কখনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে। সম্প্রতি তিনি ভোটের ফলপ্রকাশের দিন টুইটারে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গেও তুলনা করেন কঙ্গনা। যারপরেই বি-টাউনের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’-কে নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকী মমতাকে ভোটে জিতিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য বাংলার ভোটারদেরও তীব্র কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। তাঁর টুইটের ভাষা এবং ভিডিও অত্যন্ত হিংসাত্মক। যা সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং অশান্তিতে ইন্ধনকারী বলে মনে করে অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এতকিছুর পরেও কঙ্গনা যেভাবে প্রতিদিন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন, তাতে দেশের জনগণের উপর বাংলা নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে বলেই মত সকলের।