এবার কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হবে ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও। দরকার পড়লে ইন্টার্ন চিকিৎসক এমনকী নার্সরাও করবেন চিকিৎসার কাজ। এমনই জানাল রাজ্য সরকার। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে রাজ্যে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যায় কম পড়ার আশঙ্কা, ঠিক তখনই নবান্নে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার মমতার দ্বিতীয় সাংবাদিক বৈঠক ছিল নবান্নে। সেখানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে এবং চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “এখন থেকে ডাক্তারির পড়ুয়াদেরও করোনা চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসার কাজ করবেন।” এমনকী, প্রয়োজনে হাতুড়ে ডাক্তারদেরও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে বৈঠকে জানান মমতা।
ঊর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমণের ধাক্কা সামলাতে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও বেশ কিছু বদলের ঘোষণা করেন মমতা। অক্সিজেনের অভাবে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে করোনা রোগীদের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, “মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হবে।” এর পাশাপাশি সমস্ত হাসপাতালে শয্যা সংখ্যাও অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, সমস্ত হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমেই করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক শয্যা বরাদ্দ করতে হবে।”