অমিত শাহ আমার দেখা সেরা ওভাররেটেড রাজনীতিবিদ। বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বিজেপিকে তিন সংখ্যা পেরতে না দেওয়ার বাজি জিতে এবার ঠিক এই ভাষাতেই মোক্ষম খোঁচা দিলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির ‘চাণক্য’ শাহকে পিকের কটাক্ষ, উনি অত্যন্ত সাধারণ মানের রাজনৈতিক ম্যানেজার।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত আরও বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। তীব্র সমালোচনা করেছেন নির্বাচন কমিশনের। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ম্যারাথন ৮ দফায় ভোট করেছে কমিশন। তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক প্রচার করেছে, তা নজিরবিহীন। কিন্তু কমিশন সেটা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে বলে শুনেছেন? তবে পিকের মূল খোঁচা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ পরবর্তী বিজেপির সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান ষোলো আনা বলেই দাবি করেন বিজেপির তাবড় নেতা। মূলত তাঁর মস্তিষ্কে ভরসা রেখেই নাকি গোটা দেশে বিজেপির এমন ঝড়। তিনি মোদীর ডেপুটি অমিত শাহ। যে অমিত শাহ বাংলায় ২০০ আসন জিতছেন বলে দাবি করে আসছিলেন একেবারে শুরু থেকে। বাংলায় বিজেপির পুরো লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্টও নাকি শাহের নিজের হাতে তৈরি। যদিও ফল বেরোলে দেখা যায়, বিজেপি নিজেই হাফ হয়ে গেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল।
এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে মোদী-শাহের কার্যকারিতা নিয়ে। জিতে উঠে সেই কাঁটা ঘায়ে কার্যত নুন ছিটিয়ে দিয়েছেন পিকে। তাঁর দাবি, অমিত শাহের হাতে কী ছিল না! নরেন্দ্র মোদীর মতো বড় নেতা, অফুরন্ত রসদ, সঙ্ঘ সমর্থিত বিশাল পার্টি নেটওয়ার্ক, সমস্ত এজেন্সি সেই সঙ্গে সরকারি সহযোগিতা, সবচেয়ে বড় কথা অতি বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে হাতে পেয়েও বাংলায় এভাবে হেরে গেলেন! এত কিছু থাকা সত্ত্বেও যদি সেনাপতি ব্যর্থ হন তাহলে আর তাঁকে চাণক্য বলি কী করে? বলেন পিকে।
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, মোট ৩ বার অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ৩ বারই গো হারা হেরেছেন শাহ। ২০১৫ সালে বিহার, তারপর দিল্লী এবং সর্বশেষ বাংলা। তৃণমূলের ভোট কুশলীর সাফ কথা, অমিত শাহ এই কাজের ক্ষেত্রে বারবারই শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। পিকে এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন যে, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে অমিত শাহকে সম্মান করার কোনও কারণ দেখেন না তিনি।