জনসাধারণের রায়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দুরন্ত জয়লাভ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল। ডবল সেঞ্চুরি পার করে জয়ী হয়েছেন মমতা। ইতিমধ্যেই জয়যুক্ত সরকারের তরফে নেওয়া উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বণিকসভা ও শিল্পপতিরা। একইসঙ্গে তাঁরা ব্যক্ত করেছেন শিল্পের উন্নয়নে নতুন সরকারের কাছে তাঁদের আশা৷ কারও আশা, ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচ বছরে শিল্পের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে৷ কেউ চাইছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পগুলির কথাও ভাবা হোক৷ আবার কেউ চাইছেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আরও বেশি সম্পর্ক স্থাপন করুক রাজ্য সরকার৷ সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে আরও জোর দিক নতুন সরকার, এমনটাই চাইছে রাজ্যের শিল্প মহল।
শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, ‘বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই জয় আবারও নিশ্চিত করে যে বাংলার মানুষ দিদির নেতৃত্ব, নীতি এবং প্রকল্পগুলির উপর বিশ্বাস এবং ভরসা বজায় রেখেছে। এই রায়কে স্বাগত। গত ১০ বছর ধরে রাজ্যে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তা আরও ত্বরান্বিত হবে। রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে। শিল্পায়নের স্বার্থে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরও এগিয়ে যাবে বাংলা।’ শিল্পের কথা আরও বেশি করে ভাবুক সরকার৷ এই আশা ব্যক্ত করেছেন শিল্পপতি ঋষভ কোঠারি। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এই সরকার গত ১০ বছর অনেক কাজ করেছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে, ঋণদানের সহায়তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। শিল্প সম্মেলন করে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি শিল্প সংস্থাকে এই রাজ্যে লগ্নির আহ্বান জানানো একটি বড় সাফল্য। আমরা চাই তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিল্পের কথা আরও বেশি করে ভাবুক। আমরাও পাশে আছি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি রমেশ কুমার সারাওগি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপরই আস্থা রেখেছিল৷ পরপর তিনটি নির্বাচনে জয় এমনই ইঙ্গিত দেয়৷ অতীতের মতো আগামীতেও রাজ্য সরকারের ভবিষ্যতের প্রচেষ্টাগুলিকে আন্তরিক সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভারত চেম্বার অব কমার্স৷ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ব্যবসা ও লগ্নির সুযোগ বাড়িয়ে বঙ্গকে একটি ‘কনক্লেভ’ গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন রমেশ কুমার সারাওগি৷ তাঁর মতে, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে (এমএসএমই) লালনপালন করার সঙ্গে সঙ্গে বড়-মাপের শিল্পে লগ্নিবৃদ্ধির দিকে বিশেষ জোর দেওয়া উচিত৷’