বরাবরের জন্য সাসপেন্ড করা হল বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। বাংলার নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ট্যুইটারে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ নামে পরিচিত কঙ্গনা। হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই পোস্টগুলি মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের নীতি লঙ্ঘন করেছিল বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে ।
গত রবিবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ফের ক্ষমতায় পেয়ে তিন বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এ বার লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি। বিজেপি কোমর বেঁধে নেমেছিল বাংলায় তাদের অধিকার সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে । কিন্তু আশাতীত জয় নিয়ে রাজ্যে ফের সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল। ২১৪টি আসন সুনিশ্চিত করেছে ঘাসফুল। অন্যদিকে ৭৬-এ আটকে গিয়েছে পদ্ম।
বিধানসভা নির্বাচনের এই রায় দেখে টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট করেছেন কঙ্গনা । ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি । যা ট্রেন্ড দেখছি, সেখানে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেই । তথ্য অনুযায়ী, বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরীব আর বঞ্চিত । ভাল, আর একটা কাশ্মীর হতে চলেছে ।’
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েও তাঁক বেনজির কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। লিখেছিলেন, ‘২০১৯-এ লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঘিনীর মতই লড়াই করেছেন এই বিধানসভা নির্বাচনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামতে দেননি। সিএএ, এনআরসিকে আটকেছেন। মোদীকে খেলায় আহ্বান করেছেন। খোলাখুলি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাঁদের ভোটার কার্ড দিয়েছেন। গণতন্ত্র এখানে রসিকতা। তবু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাচ্ছি। কারণ যদি ভিলেন হতেই হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হন। রাবণের মত লড়াই করুন। রাহুল গান্ধীর মতো গোগো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়াই উচিত।’
এরপর আরামবাগে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর খবরের রিটুইট করে কঙ্গনা লেখেন, ‘আগামীদিনে বাংলায় রক্তস্নান হবে। সরকার হেরে যাওয়ার ভয়ে রক্ত পিপাসু হয়ে উঠবে।’এমনিতেই তিনি বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন বলে খ্যাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই প্রধানমন্ত্রীর জয়গান করতে দেখা যায় তাঁকে। ‘দেশভক্তি’-র ঝান্ডা ওড়ানোর নামে মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন কঙ্গনা। এর আগেও মুম্বইয়ে তাঁর অফিসের বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার সময় বৃহন্মুম্বই পুরনিগমকে তুলোধনা করে মুম্বইকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কৃষক আন্দোলনের সময়ও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।