বাংলায় যখন বিজেপিকে ফুৎকারে উড়িয়ে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্টকে সত্যি করে তামিলনাড়ুতে বিশাল জয় ছিনিয়ে নিল ডিএমকে-কংগ্রেস জোটও। রবিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১৪০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে ডিএমকে জোট। আর দিনের শুরুতে ৯৫টি আসনে এগিয়ে থাকা এআইএডিএমকে দিনশেষে এগিয়ে ৮০টির মতো আসনে!
জয়ললিতা ও করুণানিধিহীন এবারের তামিলনাড়ু ভোটের দিকে নজর ছিল সবপক্ষেরই। এক দশক ধরে সেখানে ক্ষমতায় থাকা এআইএডিএমকে-র হাত ধরে বিজেপি সেখানে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ১১৮ আসনের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারল না আম্মার দল। অন্যদিকে, ডিএমকে শিবিরে খুশির হাওয়া। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কোলাথুর কেন্দ্র থেকে এগিয়ে এমকে স্ট্যালিন আর চিপক আসনে এগিয়ে তাঁর ছেলে উদয়নিধি। উল্টোদিকে, আম্মা-কলাইনারহীন তামিলভূমের একমাত্র স্টার প্রার্থী কমল হাসান কোয়েম্বাটোর কেন্দ্র থেকে হারছেন বলেই খবর।
২০১৯-এর লোকসভা ভোট থেকেই করুণা-পুত্র স্ট্যালিনের উত্থানের সূত্রপাত। এদিকে, আম্মার মৃত্যুর পর ছত্রভঙ্গ তাঁর দল এআইএডিএমকে। তার ওপর চলছে পনিরসেলভাম ও পালানিস্বামী— দুই শিবিরের লড়াই। এই পরিস্থিতিতে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় আসবে, এমন সম্ভাবনাই জোরদার হচ্ছিল। রবিবার রাতে ভোটের ফলের অভিমুখ তাই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তামিলনাড়ুর মানুষকে ধন্যবাদ জানান স্ট্যালিন। আশ্বাস দেন, ক্ষমতায় আসার পর সাধারণের জন্যই কাজ করবে তাঁর দল।