বঙ্গ বিজেপির ওজনদার নেতা রাহুল সিনহা। আগে সাত-সাতবার ভোটে দাঁড়িয়ে হার হজম করতে হয়েছিল। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে তাঁকে। ‘হেরো’র তকমা ঘোচানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আর তার পরেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে- তিনি কবে ক্ষান্ত দেবেন এই লড়াইয়ে? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দেননি বঙ্গ বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।
ভোট রাজনীতিতে প্রথম নেমেছিলেন ১৯৯৮ সালে। রায়গঞ্জ আসনে দাঁড়িয়ে তাঁর নির্বাচনী যাত্রা শুরু৷ হেরে গিয়েছিলেন। এরপর ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মেদিনীপুরে৷ সেবারেও হারের স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁকে। ২০০১ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়েন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থেকে৷ ফের হার জুটেছিল ভাগ্যে। তার পরে একাধিক বার লোকসভা এবং বিধানসভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির টিকিট বাগিয়ে নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন৷ ২০১৯ সালে রাজ্যজুড়ে মোদী হাওয়াতেও উত্তর কলকাতা লোকসভা আসনে দাঁড়িয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল।
তবুও লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেননি। এবার ভাগ্য ফেরাতে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে হাবড়ায় এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তু অধ্যুষিত হাবড়ায় জয়ের ব্যাপারে রাহুল বাবু নিজেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে স্বঘোষিত ‘গোখরো’ মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু এবারও ভাগ্য সদয় হয়নি। পরাজয়ের তেতো স্বাদ হজম করতে হয়েছে।