চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি। চারজনের মৃত্যুতে অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই শীতলকুচিতে ফলাফল পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে।
শীতলকুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এই এই গুলি চালাল তা স্পষ্ট নয়। তবে দুই দলের সংঘর্ষের মাঝে পড়েই ওই যুবক আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
শীতলকুচিতে জিতেছে বিজেপি। ২১ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূলের পার্থপ্রতীম রায়কে হারিয়ে জিতেছেন বিজেপির বরেণচন্দ্র বর্মণ। জানা গিয়েছে, তারপর থেকেই শীতলকুচির বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ছোট শালবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানিক মৈত্র নামে ওই যুবক বাড়ির আশেপাশে ভাঙচুর হচ্ছে, সেই পরিস্থিতি দেখতে যায়। তখনই ওই এলাকায় গোলাগুলি চলছিল। আর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সেই গুলি এসে তাঁর পেটে লাগে। এর পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়।
মৃত যুবকের আত্মীয় কার্তিক মৈত্র বলেন, দুই দলের মধ্যেই ঝামেলা হচ্ছিল। কোন দল গুলি চালিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, মানিক মৈত্র কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন।