বাংলা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হাতে। একুশের মহাসংগ্রামে বিপুল ভোটে জিতে হ্যাটট্রিক করেছে মমতা বাহিনী। বিজেপি-কে রুখে মমতার এ হেন জয়ে আপ্লুত অ-বিজেপি দলের নেতারাও। জয়ের অভিনন্দন জানিয়ে মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির আরও অনেক উজ্জ্বল মুখ। টুইটের পাশাপাশি মমতাকে ফোন করেও অভিনন্দ জানিয়েছেন কেজরিরা। কিন্তু, একজনের থেকে ফোন পাননি মমতা। তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী.
এই প্রসঙ্গে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই প্রথম দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। হয়তো তিনি ব্যস্ত। আমি কোনও সেন্টিমেন্টে নিইনি। টুইট দেখেছি।’ সেই সঙ্গে মমতা জানান, ‘উদ্ধব ঠাকরে, নবীন পট্টনায়ক, রজনীকান্ত, অখিলেশ যাদব, অমরিন্দর সিং, কেজরিওয়াল ফোন করেছেন, কথা হয়েছে। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’
ফোন না করলেও টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী। রবিবার দিনের শেষে টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘মমতাদিদিকে ধন্যবাদ।’ উল্লেখ্য, বাংলা দখলে এবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি-র উত্থানের পরই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে পুরোদমে আসরে নামেন মোদী-শাহরা। একুশের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম নরেন্দ্র মোদী বাগযুদ্ধে সরগরম হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। মোদীর ‘দিদি ও দিদি’ ডাক ঘিরেও তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর চলে। অন্যদিকে, মোদীকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেন মমতা। শেষমেশ একুশের রায়ে শেষ হাসি হেসেছেন মমতাই।