রবিবাসরীয় দুপুরের মধ্যেই স্পষ্ট হচ্ছে যাচ্ছে, ‘নবান্নে ফের হাওয়াই চটি’। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে থাকলেও সারা রাজ্যের ট্রেন্ড বলছে, বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল। আর বিজেপি প্রত্যাশার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারছে না। আর বেলা বাড়তেই ‘সেলিব্রেশন’ মুডে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই কালীঘাটে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। অপরদিকে, খাঁ-খাঁ করছে বিজেপির সদর দফতর, হেস্টিংস অফিস।
ইতিমধ্যেই মমতার বাড়ির সামনের কালীঘাট মিলন সংঘের মাঠে বসানো হচ্ছে জায়েন্ট স্ক্রিন। সূত্রের খবর, দুপুরের পরপরই ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও হাজির হচ্ছেন ধীরেধীরে। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতেও বাধ মানছে না তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের আনন্দে। যদিও তৃণমূল নেত্রীর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন। জিতে ফের সরকার গড়বে তৃণমূল।
রবিবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর সামগ্রিক ভাবে এগিয়েই রয়েছে তৃণমূল। দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ২০৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে মাত্র ৮০ আসনে, আর সংযুক্ত মোর্চা এগিয়ে মাত্র ২টি আসনে।
নিজের জয় নিয়ে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও হুগলি ভালো ফলের আশা করেনি তৃণমূল। কিন্তু ওই তিন জেলার ভোট প্রবণতায় ব্যাপক ভালো ফল করতে চলেছে তৃণমূল। মমতা নিজেও বলেছেন,’দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ফিরছি।’ নন্দীগ্রামে চতুর্থ রাউন্ড শেষে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তা নিয়েও আশঙ্কিত নন মমতা। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন,’সময় গড়ালে এগিয়ে যাব।’