এবার মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সলি সোরাবজি’র। আজ ভোরে দিল্লীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৯১ বছর বয়সী এই দুঁদে আইনজীবীর। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত আইনজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। অনেকের কাছেই শিক্ষক, অভিভাবক-সম ছিলেন একসময় ‘পদ্মবিভূষণ’ প্রাপ্ত বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। নানা মামলার খুঁটিনাটি জানতে তাঁর কাছে ছুটে গেলেই মুশকিল আসান হতো সকলের। কিন্তু এবার সেই সুযোগের অবসান। মারণ করোনা কাড়ল সোরাবজি’র প্রাণ।
১৯৩০ সালে মুম্বইয়ের এক পার্সি পরিবারে জন্ম হয় সোরাবজির। বম্বে হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। ধাপে ধাপে কেরিয়ারে উন্নতি। ১৯৭১ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। ১৯৮৯ সালে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ শুরু করেন সোরাবজি। সেইবার মাত্র ১ বছরের জন্য এই দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। পরে অবশ্য ১৯৯৮ সালে ফের এই দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর টানা ৬ বছর ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন সলি সোরাবজি।
মানবাধিকার সংক্রান্ত মামলাগুলিতে বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব বোঝাতে তাঁর অকাট্য যুক্তি টলিয়ে দিয়েছে বহু দুঁদে আইনজীবীকেও। এছাড়াও শিখ দাঙ্গা বিরোধী হয়েও যাঁরা সঠিক বিচার পাচ্ছিলেন না, তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন সোরাবজি। এমনই নানা ধরনের মামলায় সোরাবজির অবদান ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিশেষভাবে স্মরণীয়। ২০০২ সালে তাঁকে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করা হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। পরে জানা যায়, নবতিপর সোরাবজির শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ করোনা ভাইরাস। শুক্রবার ভোরে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।