অবশেষে জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, রাজস্থান- পরপর চার ম্যাচে হারার পর অবশেষে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখল কিং খানের দল। পাঁচ উইকেটে তাঁরা হারাল আরেক বলিউড তারকা প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। ১২৪ রান তাড়া করতে নেমে ২০ বল বাকি থাকতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যান নাইটরা। তবে ম্যাচ সহজে জিতলেও অবশ্যই চিন্তায় রাখবে নাইটদের টপ অর্ডার। কারণ রান অল্প হলেও এই ম্যাচেও ফের ব্যর্থ কেকেআরের উপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। রাহুল ত্রিপাঠি এবং অধিনায়ক মর্গ্যান দুরন্ত ব্যাটিং না করলে হয়তো বিপাকে পড়তে হত কলকাতাকে।
গতকল টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। আর অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখেন কেকেআর বোলাররাও। শুরু থেকেই দুরন্ত মেজাজে বল করতে থাকেন মাভি, কামিন্স, নারিন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরা। পাঞ্জাবের অধিনায়ক কে এল রাহুল আউট হন ১৯ রান করে। এরপর পরপর আউট হয়ে যান গেইল (০), দীপক হুডা (১), মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৩১), হেনরিকস (২) এবং নিকোলাস পুরানরা (১৯)। শেষদিকে পাঞ্জাবের শাহরুখ খান (১৩) এবং ক্রিস জর্ডনের ব্যাটে ভর করেই ১২০ রানের গণ্ডি পেরোয় পাঞ্জাব কিংস। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানে থামে প্রীতির দলের ইনিংস।
যদিও জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি কলকাতার। এদিনও শুরুতেই পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় কেকেআর। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ হন তরুণ তুর্কি শুভমন গিল। করেন মাত্র ৯ রান। অন্যদিকে, রানা এবং নারিন খাতাই খুলতে পারেননি। তবে এরপরই নাইট ইনিংসের হাল ধরেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং ক্যাপ্টেন মর্গ্যান। ত্রিপাঠি অবশ্য ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় রানআউট হয়ে যান আন্দ্রে রাসেল। শেষপর্যন্ত অবশ্য অধিনায়ক মর্গ্যান এবং দীনেশ কার্তিক ২০ বল বাকি থাকতেই দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন। ৪০ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যান। এর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত হাজার রানও পূর্ণ করে ফেললেন এই ইংরেজ ক্রিকেটার।