বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এর পর ষষ্ঠ দফার ভোটেও পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ও উত্তর ২৪ পরগনার আশোকনগরে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। আজ, সোমবার রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার নির্বাচন। আর তাতেই ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, তো কোথাও আবার তৃণমূল কর্মী-নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে।
এদিন, মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম বিধানসভার গুড়ো পাশলা গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক তৃণমূল সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে প্রথমেই জানতে চায় কোন দল করিস? তৃণমূল জানার পরই মারধর শুরু। এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতার। পান্ডবেশ্বরের একটি বুথে মার খেয়ে প্রায় এরকমই অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি রুবল আলির অভিযোগ, বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি গাছের তলায় গরমের জন্য বসেছিলাম। বিএসএফের ৩ জওয়ান এসে জিজ্ঞাসা করল, কোন পার্টি করিস? বললাম তৃণমূল করি। ফের প্রশ্ন, এখানে কী করছিস? বললাম গাছের ছায়ায় বসে রয়েছি। একথা শোনার পরই ওরা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। বলে বেশি কথা বললে ফায়ার করে দেব। একজন কানে বন্দুক ধরেছিল। অন্যজন মারছিল। বাঁ হাতটা ভেঙে গিয়েছে। পিঠ প্রচুর লাঠির বাড়ি মেরেছে।
এদিন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর বুথে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২১৭ নম্বর বুথে আমাদের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আমি গিয়ে বলি আমাদের যিনি পোলিং এজেন্ট আছেন তিনি সকাল থেকেই রয়েছেন। তাঁকে রিলিফ দেওয়া হোক। কিন্তু আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই মারধর শুরু হয়ে যায়। যখনই আমি তৃণমূলের নাম বলেছি তখনই মারধর শুরু। আমায় প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলের দালালি করছ? আমাকে মেরে ওখানেই ফেলে দিয়েছিল। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।