বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিজেপির। মিঠুন চক্রবর্তীর পর এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সভা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের বিধি অমান্য করেই এই বিজেপি এমপির সভায় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। মালদহে যখন করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তখন বিজেপি নেতানেত্রীদের একের পর এক এ ধরনের সভা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমজনতা। উঠছে প্রশ্ন। রবিবার মানিকচকে অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সভায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি, অভিযোগ এমনই। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, শনিবার মিঠুন চক্রবর্তী কমিশনের বিধির তোয়াক্কা না করেই নির্বাচনী প্রচারসভা করেন। কমিশন হস্তক্ষেপ করায় মাঝপথে সেই সভা বন্ধ করে দিতে হয় বিজেপিকে। তার পরও শিক্ষা নেয়নি গেরুয়াশিবির। লকেটের সভা নিয়েও জেলা নির্বাচন দপ্তরে তৃণমূল অভিযোগ জানাতে চলেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, এদিনের সভায় সশরীরে হাজির হননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পুরোপুরি করোনা বিধি মেনেই সভা হয়েছে একইসঙ্গে তাদের পাল্টা অভিযোগ, মানিকচকের গোপালপুরে বিজেপির একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এদিকে, এদিন হবিবপুরে বিজেপির বিরুদ্ধে যুব তৃণমূল নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের মাঠে রবিবার জনসভা করেন লকেট। সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল, মানিকচকের বিজেপি প্রার্থী গৌরচন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ। জেলা তৃণমূলের অন্যতম কোঅর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, “আমাদের স্থানীয় সমর্থকরা জানিয়েছেন, হাজার খানেকেরও বেশি পুরুষ ও মহিলা বিজেপির ওই সভায় হাজির ছিলেন। জেলায় যখন করোনা পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক, তখন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছি।”