করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। যার জেরে রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যু মিছিলও। একই ছবি ভোটের বাংলাতেও। আর তাই স্ত্রী ও কন্যা ভোটের লাইনে দাঁড়ালেও এবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাঁর এই ঘরবন্দী থাকার সিদ্ধান্ত বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। এই প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন পদক্ষেপ করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। বাকি দুই দফার নির্বাচনের আগে বেশকিছু কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে কমিশনকে। প্রচারে সংযত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এরমধ্যেই আজ সপ্তমদফা নির্বাচনের কলকাতার চারটি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ হচ্ছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রেরই ভোটার বুদ্ধদেববাবু। অসুস্থতার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের লাইনে দাঁড়াননি তিনি। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও কন্যা সুচেতনা ভোট দিলেও যাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধবাবু।
উল্লেখ্য, বুদ্ধবাবু যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আগেই কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল তাঁর দল। তাঁর পাম এভিনিউর বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বুদ্ধবাবুর বয়েস যেহেতু আশির নিচে তাই ভোটগ্রহণ করতে অস্বীকার করে কমিশন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় শরীর ভাল থাকলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের অধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি। কিন্তু দিন যতো গড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট না দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শই মানলেন বুদ্ধবাবু।