এবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ত্সনার মুখে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। তবে এই সময়কালে রকেট গতিতে উর্ধ্বমুখী হয় করোনা গ্রাফ। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে, তার জন্যই বেড়েছে করোনা সংক্রণ।
আর এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের জেরে দ্বিতীয় করোনা প্রবাহ আছড়ে পড়েছে দেশে। পাশাপাশি কমিশনকে তোপ দেগে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, আপনাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত। তাছাড়া নজিরিবিহিন হুঁশিয়ারিতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেয়, এখনই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ না নিলে ২ মে-এর ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিন মাদ্রাস হাইকোর্টের তরফে বলা হয় নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে করোনা বিধি লাগু করে পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালতের হুঁশিয়ারি, কমিশন তা না করতে পারলে ভোট গণনার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আদালতের বক্তব্য, ‘কোনও ভাবেই ভোট গণনা করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে তাহলে তা অবিলম্বে পিছিয়ে দেওয়া উচিত। নিয়ম মেনে গণনা হোক অথবা তা পিছিয়ে দেওয়া হোক।’ পাশাপাশি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানাতে হবে যে ভোট গণনার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।