অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যকে বঞ্চনার জন্য এর আগে বেশ কয়েকবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে নবান্ন। বারবার বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয় বলে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কেন্দ্রকে। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, করা হয়, যে কোনও সুবিধা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয় একদম পরিকল্পিতভাবে। এমনকী করোনা চিকিৎসায় অন্যান্য রাজ্যকে সাহায্যের ক্ষেত্রেও যে বাংলা ব্রাত্য, তা ফের প্রমাণিত হল।
করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ রেমডেসিভির বণ্টনে যে তালিকা তৈরি করেছে মোদী সরকার, তাতে দেখা গেল, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার জন্য নামমাত্র ওষুধ বরাদ্দ করা হয়েছে, মাত্র ৩২,০০০টি। যেখানে গুজরাত উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ভাগে পড়ছে অনেকটা বেশি রেমডেসিভির। এ নিয়ে টুইট করে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কায় বর্তমানে বেসামাল গোটা দেশ। এই অবস্থায় চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য রেমডেসিভিরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ করা হয়েছে রেমডেসিভির ওষুধ। তালিকায় মহারাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার, গুজরাটের জন্য ১ লক্ষ ৬৫ হাজার, উত্তরপ্রদেশের জন্য ১ লক্ষ ৬১ হাজার। সেখানে বাংলার জন্য মাত্র ৩২ হাজার রেমডেসিভির বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
করোনা পরিস্থিতির নিরিখে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এই মুহূর্তে সবচেয়ে সংকটজনক। সেখানকার চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রেমডিসিভির দেওয়াই কাম্য। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে এত খারাপ পরিস্থিতি না হওয়া সত্ত্বেও কেন বাংলাকে বঞ্চনা করে অতিরিক্ত ওষুধ সেখানে বণ্টন করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক। তিনি টুইট করে লিখেছেন, এই মুহূর্তে দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কট রয়েছে। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। অথচ বাংলা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে। তাই মমতা সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের জোগান বজায় রাখতে যাতে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো না হয়। কিন্তু তার বদলে কেন্দ্র মাত্র ৩২০০০ রেমডেসিভির পাঠিয়েছে! ডেরেক রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিঁধেছেন কেন্দ্রকে।