উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনে সেই তথ্য এনে নির্বাচন কমিশন কীভাবে পক্ষাপাতমূলক কাজের অভিযোগ করলেন তিনি। বললেন, ‘প্রত্যেক দফা ভোটের আগে তৃণমূলের দাপুটে নেতা ঘনিষ্ঠদের নজরবন্দী কিংবা আটক করা নিয়ে তাঁদের কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে’।
কমিশনের নির্দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় এই মুহূর্তে বড় রাজনৈতিক সভা-সমিতি বাতিল, রোড শো কিংবা মিছিলও হবে না। করোনার জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আগের সব জনসভা বাতিল করে দিয়েছিলেন। তাই শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম থেকে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখান থেকেই জানান, রাজ্যে ভোটপর্ব মিটে গেলে কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা ২০১৬ সালেও সহ্য করেছি। এবারও দেখছি। এই ভোট হয়ে যাওয়ার পর আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাব। কমিশন যাতে নিরপেক্ষভাবে ভোট করায়, তার আবেদন জানাব। আমরা একটু বেশি মাথা নত করে ফেলেছি, একটু বেশি সম্মান দিয়ে ফেলেছি’। এদিন বোলপুরের মঞ্চে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মাত্র ৪ জন। ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও।