বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিশিল্ডের একটা ডোজের দাম পড়বে ৬০০ টাকা। কেন্দ্রকে ডোজ দেওয়া হবে ১৫০ টাকায়। আর রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে ৪০০ টাকায়। টিকার দামে এই দ্বিচারিতা নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষেত্রে একই দাম হওয়া উচিত। অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ও কোভিশিল্ডের ভারতে উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা আবার দাবি করেছেন, কেন্দ্রকে ১৫০ টাকাতে ডোজ দিয়েই মুনাফা হচ্ছে। তাহলে ৬০০ টাকায় একটা ডোজ বিক্রি করে মুনাফার পরিমাণ কত হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা,
উল্লেখ্য, ভারত ছাড়া আর কোনও দেশে টিকার দাম এত বেশি নয়। তার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ব্রিটেন ও ইওরোপের একাধিক দেশ। ১লা মে থেকে খোলা বাজারে ৬০০ টাকাতেই মিলবে কোভিশিল্ডের একটা ডোজ। ওইদিন থেকেই ভারতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। পুনাওয়ালা যদিও বলছেন, “ভারত সরকারকে প্রথমে ২০০ টাকায় টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমরা খোলা বাজারে ১০০০ টাকায় তা বিক্রি করেছি।” সরকারি হাসপাতালে ৪০০ টাকায় মিলবে কোভিশিল্ডের ডোজ। এখন রাজ্য সরকার টিকাপ্রদান ফি করলে এক কথা। নইলে এই টাকা দিয়েই সরকারি হাসপাতালে নিতে হবে টিকা। এই ৪০০ টাকাও অনেক দেশে কোভিশিল্ডের টিকার দামের তুলনায় বেশি।