ভোট মেটার পর নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কিছু নথি সামনে আনেন তিনি। মমতার দাবি, উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন, এ রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের সঙ্গে রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর হাতে এসেছে। সেখানেই নানান আপত্তিজনক কথা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে যে কথোপকথন হয়েছে, তাতে ‘টিএমসি গুনস’, ‘ট্রাবল মঙ্গার’ বলে তৃণমূল কর্মীদের কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের ভোটের আগের দিন থেকেই পুলিশ থানায় আটকে রাখে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আমাদের দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে নিতে। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। আমার কাছে যা প্রমাণ আছে, আমি ঠিক করেছি, নির্বাচনের পরে সুপ্রিম কোর্টে আমি যাব।”
পাশাপাশি, কমিশনের কারণে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, “কমিশনের কাছে আমরা কোনও অভিযোগ জানিয়ে বিচার পাচ্ছি না। আর বিজেপির কথা শুনে ভোট করানোর জন্যই করোনা সংক্রমণ এত বাড়ল। ৮ দফায় ভোটগ্রহণ না হলে এমন সঙ্কট তৈরি হত না।” শুধু কমিশন নয়, রাজ্যে কয়েক জন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাবেদারি করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, “এখানে কিছু ডিএম, এসপি-রাও তাঁবেদারি করছে, যাদের তাঁবেদারি করা উচিত নয় তাদের। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, কোন নির্দেশে কী কাজ চলছে সব খবর আমার কাছে আছে। এমন করছে যেন বিজেপি ক্ষমতায় এসে গিয়েছে।”