ছটি দফা পেরিয়ে গিয়েছে। শেষ দুদফার আগে বহিরাগত তত্ত্ব, এনআরসি-সিএএ প্রসঙ্গ না তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা বিপর্যয়কেই সামনে রেখে বিজেপি-কে একহাত নেওয়া শুরু করলেন। আজ বীরভূমে ১১ প্রার্থীর জন্য যখন ভার্চুয়াল সভা করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তার কিছু আগেই খবর এসেছে, দিল্লির একটি হাসপাতালে আরও একবার অক্সিজেন ঘাটতিতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারও আগে শুক্রবার ২১ জন মারা গিয়েছে। মমতার বক্তব্যে তাই অনিবার্যভাবেই উঠে এল বেনজির বিপর্যয়ের কথাই। বিনামূল্যে সবার জন্য ভ্যাকসিন দাবি করলেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘ওরা আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলত। অথচ দিল্লিতে ২০ জন অক্সিজেনের অভাবে মারা গেল। এত আত্মনির্ভর ভারত যে গ্যাস নেই স্যালাইন নেই ওষুধ নেই। বাংলায় নির্বাচন করতে ধ্বংস করে দিয়েছে গোটা ভারতকে। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। এই গোটা বিপর্যয়ের জন্য মোদী সরকার দায়ী’।
মমতা এদিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন রাজনৈতিক সভা থেকে। তিনি বলেন ‘ওয়ান নেশন ওয়ান লিডার বলছে যারা তারা ভ্যাকসিনের জন্য আলাদা আলাদা দাম ধার্য করেছেন কেন? কেন্দ্র যে ভ্যাকসিন ১৫০ টাকায় কেনে সেই ভ্যাকসিন ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে কেন?’ মমতার যুক্তি গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশ নিয়েই মাথাব্যথা কেন্দ্রের।
গত করোনা অধ্যায়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন মমতা। বললেন, ‘ওরা বলেছিল থালা বাজাও, ঘণ্টা বাজাও। থালা বাজালে সব হয়ে যাবে? বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নির্বাচন কাঁটছাট না করায় নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন মমতা। বলেন, বিজেপির আয়না নির্বাচন কমিশন’।
বাংলায় অক্সিজন সমস্যা নিয়েও এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় মমতাকে। তিনি বলেন, বাংলার জন্য বরাদ্দ সেলের অক্সিজেন উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হচ্ছে। একটা সমানুপাত থাকা উচিত। কেন্দ্রের পরিকল্পনার অভাবে ক্ষুব্ধ মমতা বলছেন, দেশের ওষুধের অনেকটাই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিদেশে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে বেশি পরিমাণ ওষুধ পৌঁছেছে বলেও অভিয়োগ করছেন তিনি।