অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করেছে কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মোদী সরকার জানিয়েছে যে, এখন থেকে রাজ্য সরকারগুলিও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে সরাসরি টিকা কিনতে পারবে। আর আজ, বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকারগুলিকে তারা প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন ৪০০ টাকায় বিক্রি করবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ৬০০ টাকায়। আর কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় একেকটি ভ্যাকসিন বিক্রি করবে তারা। তবে দামের এই পার্থক্য নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।
আন্তর্জাতিক বাজারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকার প্রতি ডোজের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। সংস্থার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, যে কোনও বিদেশি ভ্যাকসিনের থেকে কোভিশিল্ড টিকা অনেক বেশি সস্তা। তাছাড়া দেশের জন্য টিকার ডোজের ৫০ শতাংশই সংরক্ষিত করে রাখা আছে। কম দামে তা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হবে।
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই কোভিড টিকার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য অন্তত ১০ লক্ষ টিকার ডোজ বেশি লাগবে। বাড়তি উৎপাদনের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকককে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ পাবে সেরাম ইনস্টিটিউটকে ও ভারত বায়োটেক পাবে দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান পুনাওয়ালা এদিন বলেছেন, কোভিশিল্ড টিকার বিপুল উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর জন্য অর্থেরও প্রয়োজন। কেন্দ্র যদি এই সময় আমাদের অর্থ সাহায্য করে, তাহলে কম করেও দশ কোটি টিকার ডোজ তৈরি করা সম্ভব হবে। মে মাস শেষের আগেই টিকার আরও কয়েক লক্ষ ডোজ বাজারে চলে আসবে। বর্তমানে কোভিশিল্ড টিকার যে পরিমাণ ডোজ বিতরণ করা হয়েছে তার থেকেও ১৫-২০ শতাংশ ডোজ বেশি নিয়ে আসা হবে। আর জুলাইয়ের মধ্যে উৎপাদন বাড়বে আরও ৪০ শতাংশ।