খেলতে গিয়ে হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। সেই চোটের চিকিৎসা করাতেই কলকাতা আসেন বাংলাদেশের স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ। গত শনিবার কলকাতার এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। নাবিবের চিকিৎসার সব কিছুই দেখছেন ভারতের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল। এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হোটেলে রয়েছেন তিনি। প্রীতমের এই আচরণে মুগ্ধ নাবিব। তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় কাউকেই চিনি না। শুরু থেকেই প্রীতম আমার খেয়াল রেখেছে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের দিন ও তার পরের দিনও আমার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে।’’
এই বিষয়ে প্রীতমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নাবিব যে দেশেরই ফুটবলারই হোক না কেন, আগে তো ও একজন মানুষ। তাই সাহায্য করার আগে দুবার ভাবিনি। ১৩ এপ্রিল ও একাই আসে কলকাতায়। আমি যোগাযোগ করিয়ে দিই ডাক্তারদের সঙ্গে। বাংলাদেশের আরেকজন ফুটবলার রায়ানের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। ওর মাধ্যমেই নাবিব আমার সাথে যোগাযোগ করে।’’
তবে এখনও বাড়ি ফেরা নিয়ে চিন্তায় নাবিব। বুধবার তাঁর বাড়ি ফেরার টিকিট কাটা থাকলেও করোনার কারণে লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় ঢাকায় ফেরা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। নাবিব বলেন, ‘‘আমার বুধবার টিকিট কাটা রয়েছে। কিন্তু শুনলাম সেখানে লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়বে। এখন কী ভাবে দেশে ফিরব তা বুঝতে পারছি না।’’ তবে নাবিবের দেশে ফেরার দায়িত্বও নিচ্ছেন প্রীতম। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার ওর ফেরার কথা থাকলেও ঢাকাতে লকডাউন থাকায় ও ফিরতে পারছে না। দেখি কীভাবে নাবিবকে ওর দেশে ফেরানো যায়।’’