মাঝে এক-দু’মাস পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের গত মার্চের শেষ থেলে রাজ্য জুড়ে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে কোভিডের থাবা। বাংলায় প্রতিদিন করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। সেই কারণেই ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাধারণ ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীদের জন্য বেলুড়মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে আপাতত ভক্তরা আর প্রবেশ করতে পারবেন না বেলুড়মঠে।
২০২০ সালের মার্চে বাংলায় প্রথম মারণ থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস। সেইসময় এর হাত থেকে বাঁচতে জারি হয়েছিল লকডাউন। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। গণপরিবহণ থেকে ধর্মস্থান, সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছিল করোনাকে রুখতে। প্রথমে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ ছিল বেলুড় মঠও। এরপর আনলক পর্যায়ে একে একে খুলতে শুরু করে সব ধর্মস্থান। কোভিড বিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয় সমস্ত মন্দির কমিটি।
সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে একাধিক মন্দিরে বসানো হয় স্যানিটাইজার টানেল। বেঁধে দেওয়া হয় ভক্তদের প্রবেশের সংখ্যা। সেই সময় বেলুড় মঠের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হলেও ভিড় এড়ানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই কারণে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড়। দুর্গাপুজোর সময়ও মঠের অন্দরে প্রবেশের অনুমতি পায়নি আমজনতা। তারপরও বেশ কয়েকমাস পেরিয়েছে।
প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভক্তরা বেলুড়ে প্রবেশের অনুমতি পান। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়। সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা এগারোটা ও দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা। কিন্তু, ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ, আরতি দর্শন, ধ্যান এসব বন্ধই ছিল। এবার দু’মাস পেরতে না পেরতেই ফের থাবা বসালো কোভিড। ফলত আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেলুড়মঠ।