গত বছরের শুরুতেই ভারতে হানা দিয়ে ছিল মারণ ভাইরাস করোনা। যেই অতিমারির কবল থেকে এখনও মুক্ত হয়নি তবে দেশ। তবে এরই মধ্যে গত বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনে তছনছ হয়েছিল দেশের পূর্ব প্রান্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে উম্পুন ঝড়ের দাপটে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ভারতের।
সোমবার প্রকাশিত ‘স্টেট অফ দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট ২০২০’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কোভিড -১৯ এর সঙ্গে সঙ্গে চরমতম আবহাওয়ার দাপট ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিল। অতিমারী এবং লকডাউনে স্তব্ধ দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছিলই। এরই মাঝে উম্পুনের জেরে ক্ষতির কফিনে যেন শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়।
রিপোর্টে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি থেকে অনেক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ফলে প্রাণহানি কম হলেও দু’দেশেই ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও আটকানো যায়নি। প্রায় ২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়, ১৯৯৪ সালের পর বর্ষার রূপ ২০২০ সালেই প্রকট হয় ভারতে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ বেশি ছিল।