ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়েছে ভারত। একদিকে যেমন দেশে দিনে নতুন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে, তেমনি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়েছে দেড় হাজার। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফর বাতিল হয়েছে। এবার ভারতীয়দের জন্যও ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল। পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো মোদীর ভারতকেও লাল তালিকায় ফেলল ‘বন্ধু’ বরিসের সরকার। করোনা আবহে ভারত থেকে আপাতত কেউ ব্রিটেনে পা রাখতে পারবেন না, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমনটাই ঘোষণা করেছেন সে দেশের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যসচিব হ্যানকক বলেছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারতে বসবাসকারী ব্রিটেন বা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তাঁরা দেশে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু কোনও ভারতীয় নাগরিক এই মুহূর্তে ব্রিটেনে পা রাখতে পারবেন না। জরুরি অবস্থায় যদি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কোনও ভারতীয় ব্রিটেনে আসেন তাহলে তাঁকে নিজের খরচায় কোভিড টেস্ট করিয়ে ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। দেশে ঢোকার দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। নিজের খরচেই কোনও কোয়ারেন্টাইন হোটেলে সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, সুপার-স্প্রেডার ব্রিটেন স্ট্রেনের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের মিউট্যান্ট স্ট্রেনও সে দেশে ছড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ৯ এপ্রিল কয়েকটি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল ব্রিটেন। এই দেশগুলোর মধ্যে ছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কেনিয়া, ফিলিপিন্স ইত্যাদি। এবার সেখানে ভারতের নামও যোগ হল।