আজ, মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় সভা করলেন অভিষেক। আর সেই সভা থেকে একদিকে যেমন একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে বিঁধলেন, তেমনই লকডাউন নিয়েও সতর্ক করলেন তিনি। বললেন, “ভোটের পরই দেশজুড়ে হবে লকডাউন। ভোটের অপেক্ষায় বসে আছে কেন্দ্র। আগে যেন তেন প্রকারেণ বাংলা দখল করবে। তার পরই লকডাউন করবে ওরা।”
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও তুলোধোনা করেন তিনি। তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন অভিষেক। অভিষেক এদিন শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন। বলেন, রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে বারবার অমিত শাহ বলছেন, বেআইনি অনুপ্রবেশের কথা। সঙ্গে বলছেন, বিজেপি রাজ্যে আসলে সীমান্ত দিয়ে পায়লাও ঢুকতে পারবে না। অভিষেকের প্রশ্ন, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? সীমান্তে থাকা বিএসএফৎ তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তাহলে এই বেআইনি অনুপ্রবেশের দায় কার, প্রশ্ন করেছেন তিনি। এই দায় মাথায় নিয়েই অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সামনেই মুর্শিদাবাদে বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগেই এলাকার সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও বিঁধলেন অভিষেক। সভামঞ্চ থেকে অধীরকে কটাক্ষ অভিষেকের, “বর্তমানে দেশজুড়ে গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। সর্ষের তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও আকাশছোঁয়া। এগুলোর প্রতিবাদ একবারও সংসদে দাঁড়িয়ে করেননি অধীর চৌধুরী। কারণ, কংগ্রেস বিজেপির সবচেয়ে বড় সাগরেদ। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালী করা।”